উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট জোসে মুজিকা’র ছুঁয়ে যাওয়া একটি উক্তি দিয়ে লেখা শুরু করছি। ‘দরিদ্র তারাই যারা সারাটা জীবন কেবল ভোগ্যপণ্য কেনার অর্থ জোগাড় করতে দাসের মতো খেটে যাচ্ছে’। আমি বা আমরাও মূলত তা-ই করছি। আর যারা এর বাইরে চিন্তা করতে পারেন, তারাই অনন্য মানুষ। অনন্য মানুষ হয়তো আমরা অনেকেই হতে চাই, কিন্তু অনন্য মানুষ হওয়ার জন্য […]

বছর কয়েক আগের ঘটনাটা কমলাপুরের। মলিন পরিধেয়, জটা চুলো দশ-বারো বছরের বালক সামনে এসে দাঁড়ালো। শরীর এতটাই ময়লা যে চারপাশে মাছি ভীনভীন করছে। গা থেকে উটকো গন্ধ। কতদিন গোসল নেই কে জানে? কাছে ভিড়তেই ভেতরে কেমন মোচড় দিয়ে উঠলো। বুঝি পেট খালি হয়ে যাবে! বাইরে বুঝতে না দিলেও ওর শরীর আর আচ্ছাদনের গন্ধ নিশ্চয়ই আমার

আমি তামিম এর মা তাসলিমা । আমি ও তামিম বর্তমানে শিশুপল্লী প্লাসে থাকি । আমরা এক সময় গ্রামে থাকতাম । তামিমের বয়স যখন চার বছর, তখন তার বাবা আমাদের ফেলে চলে যায় । তারপর অসহায় অবস্হায় ছেলেকে নিয়ে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় চলে আসি । প্রথমে বাসা বাড়িতে কাজ করতাম । একদিন গাবতলীর এক পানি ব্যবসায়ী

আমি মো: আসলাম হোসেন জয় । আমার বাবা মো: জসিম উদ্দিন (মৃত) । আমি আমার বাবা-মায়ের সাথে এক সময় কুড়িল বিশ্বরোডে একটি বস্তিতে থাকতাম । কুড়িল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছিলাম । আমার বয়স যখন নয়, তখন আমার বাবা মারা যায় । আমার মায়ের পক্ষে বাসা ভাড়া দেওয়া সম্ভব ছিল না, তাই আমরা ফার্মগেট

ব্রাদার লোসিও বস্তিতে ঘুমান। তিনি মনে করেন, তাদের সঙ্গে থেকেই কিছু করতে হবে। তাদের সঙ্গে না থাকলে, তাদের জীবনযাপন না বুঝলে তাদের জন্য কিছু করবে কী করে। এটাই ভিনদেশি ব্রাদার লোসিওর কাজ করার ধরণ। লোসিও অবশ্য ভিনদেশি কথাটা মানতে নারাজ। তিনি মনে করেন, তিনি আমাদের দেশেরই একজন। বাংলাদেশকে নিজের দেশ ভাবেন লোসিও। তাই বাংলাদেশের পথশিশুদের