স্বেচ্ছাসেবীদের লেখা

ভালোবাসার এই অশেষ পণ্য কতজনাকেই তুমি দিয়ে ধন্য হতে চাও, বিলাতে চাও সর্বত্র। হতে চাও প্রেমপূজারি , কিন্তু একবার ভেবেছো কি তোমার এই মহামূল্যবান ভালোবাসার মূল্য কয়জনইবা দিচ্ছে , তবে একবার চোখ খুলে দেখো তোমার এই ভালোবাসার অল্প একটু পেতে হস্ত তুলে পূজায় মত্ত রয়েছে কষ্টে থাকা কতিপয় শিশু, একটু ভালোবাসা পেলেই রাস্তার এই পড়ে […]

পথশিশুদের নিয়ে কাজ করি বেশ কিছুদিন ধরে। কিন্তু কাল একটি করুণ পরিস্থিতির সম্মুখিন হয়েছিলাম।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার “পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে” জেলেদের অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন এরা গরিবের থেকেও গরিব, ছোট লোকের থেকেও ছোটলোক। কিন্তু আমাদের পথশিশুদের অবস্থা ত দেখি তার থেকেও করুন। রিস্কা, ভ্যান চালক এদের ধরে পিটায়। ফুটপাতের ক্ষুদে দোকানদার এদের তাড়ায়। এরা

উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট জোসে মুজিকা’র ছুঁয়ে যাওয়া একটি উক্তি দিয়ে লেখা শুরু করছি। ‘দরিদ্র তারাই যারা সারাটা জীবন কেবল ভোগ্যপণ্য কেনার অর্থ জোগাড় করতে দাসের মতো খেটে যাচ্ছে’। আমি বা আমরাও মূলত তা-ই করছি। আর যারা এর বাইরে চিন্তা করতে পারেন, তারাই অনন্য মানুষ। অনন্য মানুষ হয়তো আমরা অনেকেই হতে চাই, কিন্তু অনন্য মানুষ হওয়ার জন্য

বছর কয়েক আগের ঘটনাটা কমলাপুরের। মলিন পরিধেয়, জটা চুলো দশ-বারো বছরের বালক সামনে এসে দাঁড়ালো। শরীর এতটাই ময়লা যে চারপাশে মাছি ভীনভীন করছে। গা থেকে উটকো গন্ধ। কতদিন গোসল নেই কে জানে? কাছে ভিড়তেই ভেতরে কেমন মোচড় দিয়ে উঠলো। বুঝি পেট খালি হয়ে যাবে! বাইরে বুঝতে না দিলেও ওর শরীর আর আচ্ছাদনের গন্ধ নিশ্চয়ই আমার