গ্রীণ হেরাল্ড স্কুলে শুক্রবার বিকেল থেকেই কেমন যেন আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করছে। গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই লাল গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হচ্ছে সবাইকে। ব্যাপারটা কি?
ঘটনা হলো পথশিশু সেবা সংগঠন এবং স্বেচ্ছাসেবীদের স্বজন, সুহৃদদের, শুভাকাঙ্খীদের নিয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। যাদের আন্তরিক সহযোগিতা, সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা পথশিশুদের মধ্যে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সহযোগিতা করতে পারছি।
একটি সমবেত সংগীত দিয়েই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছিলো। তবে নতুন এবং পুরাতন স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় অজস্র মোমের প্রজ্বলন দিকবিদিক মোহমায়া ছড়িয়ে দিচ্ছিল যেন।
তারপর চার ধর্মের চারজন প্রতিনিধি সেবা সম্পর্কে তাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ ব্যাখ্যা করেন।
তারপর একে একে এই সংগঠনের ইতিহাস, পরিচিত এবং স্লাইড শো এর মাধ্যমে আমাদের অর্জন এবং আমাদের সহযোগিতায় পথশিশুদের নিজেদের প্রতিষ্ঠার কিছু গল্প তুলে ধরা হয়, আমাদের বিভিন্ন শিশুরা শেল্টার হোমে রয়েছে তারা এখন কেমন আছে এইরকম শিশুদের অভিমত নেয়া হয়।
এদিকে ফাঁকে ফাঁকে চা, বিস্কিট, কফি চানাচুর তো চলছেই।
তারপর নতুন, পুরাতন স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে পরিচয় ও শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।
এইবার আমাদের সংগঠনের ও তার সুহৃদদের অনেকের অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ দেয়া হয়। প্রায় প্রতিটি ব্যক্তব্য ছিলো স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য শিহরণমূলক।
তারা পথশিশুদের সহযোগিতা করেই তো অনেক অনেক খুশি। একজন সুহৃদ তো আবেগের বশে কেঁদেই দিলেন।
সন্ধ্যায় সকলের জন্য একটি চমৎকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। সমবেত সংগীত, একক সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য এবং ছোট্ট নাটক দিয়ে সাজানো হয়েছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। করতালি আর উল্লাসে মেতে সকলেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে উপভোগ্য করে তুলেছিলো।
তারপর সকলের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছিলো।
এভাবেই শেষ হয় ভালোবাসার মিলনমেলার। সবাই যখন অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যাচ্ছিল তখন অনেকেই হয়তো অনুভব করেছিলো তাদের ভিতরে নতুন শক্তির উত্থান হচ্ছে। ভালোবাসার শক্তির কিংবা সেবা ছড়িয়ে দেওয়ার শক্তির।
কেউ কেউ পারস্পরিক ভালোবাসা আর সহযোগিতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পথশিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণের দীপ্ত শপথ নিচ্ছে।
আরো বেশী ভালোবাসা ও সহযোগিতা আমরা পথশিশুদের সেবায় ছড়িয়ে দিতে চাই। আপনিও আমাদের সাথেই থাকুন।