কার্যক্রম
আমরা শিশুদেরকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সময় হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্হা নিশ্চিত করি, কখনো তাদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে শিক্ষার ব্যবস্হা করি, কখনো বা পূনর্বাসন কেন্দ্র ও হোস্টেলে থাকার ব্যবস্হা করা হয়, আবার প্রয়োজনে পরিবারের কাছে পৌছে দেই । পথশিশু সেবা সংগঠনের প্রথম ৮ বছরের কার্যক্রম নিচে তুরে ধরা হল-
হাসপাতালে চিকিৎসা
৮ বছরে মোট ৪৫০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ।
পূর্নবাসন ও হোস্টেল
প্রথম ৮ বছরে ২৭৪ জন অসহায় শিশুকে (স্হায়ী ও অস্হায়ী ভাবে) বিভিন্ন পূর্নবাসন কেন্দ্র ও হোস্টেল, ড্রপ-ইন সেন্টার এবং শেলটার হোম এ থাকার ব্যবস্হা করতে পেরেছি ।
বিদ্যালয়
৮ বছরে মোট ৩৫ জনকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার পদক্ষেপ নিতে পেরেছি ।
পরিবারে পৌছানো
৮ বছরে প্রায় ৩৩ জনকে বাড়িতে পৌছে দিয়েছি । বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য দীর্ঘ ৮ মাস পূর্নবাসন কেন্দ্রে চিকিৎসার করার পর ২ জন শিশুকে তাদের পরিবারে খুলনা ও সাতক্ষীরাতে পৌছে দেয়া হয় ।
ঈদ উদযাপন
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি । এ খুশি সমাজে সকল স্তরের মানুষের । তাই ঈদের খুশি পথের অসহায় শিশুদের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য আমরা বিভিন্ন সময ঈদ উৎসব পালন করেছি । ২০০৯ সালে কমলাপুর ও গাবতলীর প্রায় ৮০ জন শিশুকে নিয়ে নটরডেম ট্রেড স্কুলে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করা হয় । ২০১০ সালে ঈদ উপলক্ষে আমরা শিশুদের শীত বস্ত্র প্রদান করি । ২০১১ সালেও প্রায় ৭৫ জন শিশু ও ৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে নটরডেম ট্রেড স্কুলে ঈদ উদযাপন করা হয় । এছাড়াও বিভিন্ন স্পটে শিশুদের খাবার ও জামাকাপড় দেওয়ার মাধ্যমে স্পট ভিত্তিক ঈদ উদযাপন করা হয় । নিয়মিত প্রতি বছরই বাচ্চাদের নিয়ে ঈদের দিনটা আনন্দে কাটানো আমাদের প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে ।
পুষ্টি প্রকল্প
শিশুদের পুষ্টির কথা বিবেচনা করে মাসে ১ বার প্রত্যক কার্য এলাকায় প্রোটিন ভিত্তিক খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে ।
প্রাক বড়দিন উদযাপন
শিশু এবং স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে ২০১০ সালে শিশুপল্লী প্লাস এবং ২০১১ সালে ভালুকায় প্রাক বড়দিন উৎসব পালন করা হয় । সারাদিন আনন্দের মাধ্যমে এক উৎসব মেলায় মেতেছিল সকলে ।
ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা
২০০৯ সালে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় আমাদের ৭ জন শিশু অংশগ্রহন করে এবং সদরঘাটের নাহিদ তৃতীয় স্হান অধিকার করে । এছাড়াও ২০১০ সালের বিজয় দিবসে সংসদ ভবনের সামনে শিশুদের আঁকা ছবি প্রদর্শন করা হয় । ২০১২ সালেও সংসদ ভবনের সামনে শিশুদের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা ও ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে । সংসদ ভবনের সামনে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে শিশুদের আঁকা ছবির প্রর্দশনী প্রায় নিয়মিত ভাবে আয়োজন করা হচ্ছে ।
বনভোজন
পথশিশু সেবা সংগঠন বিভিন্ন সময় স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় শিশুদের সাথে বিভিন্ন স্হানে বনভোজন করে থাকে । তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সারে বিজয়স্বরনী ও সংসদ ভবনের প্রায় ৩০ জন শিশু এবং নটরডেমের প্রায় ১৫ জন শিশুর সাথে বনভোজন করা হয় । ২০১১ সালে নটরডেমে অবস্হানরত শিশুদের সাথে বনভোজন করা হয় ।
শিশু চলচিত্র উৎসব
অসহায় শিশুদের বিনোদনের জন্য ২০১০ সালে আর্ন্তজাতিক শিশু চলচিত্র উৎসবে কমলাপুর, গাবতলী ও কাওরানবাজার থেকে প্রায় ২৪ জন শিশু ও ১০ জন স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন শিশু চলচিত্র উপভোগ করে । একইভাবে ২০১২ সালে আর্ন্তজাতিক চলচিত্র উৎসবে ফার্মগেট ও গাবতলীর শিশুরা স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে বিভিন্ন দেশের চলচিত্র উপভোগ করে ।
অন্যান্য
এ ছাড়াও বাচ্চাদেরকে বইমুখী করার জন্য বই মেলায় নিয়ে যাওয়া হয় । অসহায় শিশুদের আনন্দের জন্য শিশু পার্ক, শিশু মেলা, চিড়িয়াখানা ইত্যাদি বিনোদন স্হানে ভ্রমনের সুযোগ করে দেওয়া হয় । এবং বিভিন্ন উৎসব ও জাতীয় দিন যেমন- ১লা বৈশাখ, ২১শে ফেব্রুয়ারী ইত্যাদিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।
Wow……..