কিছু বিজয় শোষিত, বঞ্চিত, অবহেলিত মানুষের জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রত্যাশা আর অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে। দুর্বল জনগোষ্ঠী যে একতা, অসাম্প্রদায়িকতা আর ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিজয় অর্জন করতে পারে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ যেন ১৬ই ডিসেম্বর।
আজ থেকে ঠিক ৪৪ বছর আগে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পরিপূর্ণ বিজয়ের মাধ্যমে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো।
শোষণ, অত্যাচার আর নির্মম নির্যাতন থেকে মুক্তির আশায় তারা বুকে পাথর বেধে নেমেছিল যুদ্ধে। অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য একদল মুক্তিপাগল মুক্তিসেনার দল, স্বজন সব হারিয়েও সংগ্রামে অটল ছিলো। শুধুমাত্র ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটা স্বাধীন, সার্বভৌম, সুখী, শোষণহীন, সমৃদ্ধশালী দেশ উপহার দেয়ার জন্য।
আজকে বিজয় অর্জনের এতো বছর পরও মনে হয় কিছু মানুষের জন্য এখনো অধরাই রয়ে গেল সেই কাঙ্খিত স্বাধীনতা!
অনাদর, অবহেলা, বঞ্চনা ছাড়া তাদের জীবনে প্রাপ্তি বলে তেমন কিছুই থাকেনা।
পথশিশুদের কথাই বলছিলাম।
এই পথের সম্ভাবনাময় ফুলগুলো ক্ষুধার তাড়নায় ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলে তাদের মানবিকবোধ। আর আমরা হারিয়ে ফেলি একদল সম্ভবনাময় দেশ গড়ার কারিগরদের!
একবার ভেবে দেখুন তো এই পথে আপনারও জন্ম হতে পারতো। পথে জন্ম হয় হয়েছে বলেই তাদের পথশিশু বলে ডাকা হয়। শুধুমাত্র পথে জন্ম হওয়ার কারণে কি কোন জনগোষ্ঠী অবহেলার শিকার হতে পারে? না, ন্যায্যতার কথা হচ্ছে আমরা সবাই মানুষ। আর মানুষ বলেই তারা আমাদের ভালবাসা ও আদর, স্নেহ প্রাপ্য।
হয়তো আমাদের একটুখানি ভালবাসায় মায়াকাড়া মলিন মুখগুলোতে হাসি ফুটে উঠতে পারে। আর সেজন্যই আমরা সবাই মিলে আদর, স্নেহ আর ভালবাসায় একসাথে বিজয় উদযাপন করেছি।
মৌলিক অধিকারগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে যদি পথের ফুলগুলোকে সহযোগিতা করতে পারি তবেই হয়তো বিজয়ের পথে আরো একধাপ এগিয়ে যেতে পারবো।
বিজয় দিবসে চলুন আমরা একসাথে অঙ্গীকার করি, পথ শিশুদের মধ্যে আদর, স্নেহ আর ভালবাসা ছড়িয়ে দিয়ে তাদের মানবিকবৃত্তির প্রসার করে এগিয়ে যাবো একটি সুখী, শোষনহীন, সমৃদ্ধিশালী ও সহনশীল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে। ও আচ্ছা আমাদের এই যাত্রায় থাকছেন তো?!
লেখা : মুন্নী & শামীম
sorry je photos beshi clear and focus na